২০১৯ সালে একটি নির্দিষ্ট কারণে প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর এই সংখ্যা ২০২০ সালে করোনার কারণে মৃত্যুর প্রায় দ্বিগুণ ছিল। এই মৃত্যুর উপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। গবেষণা মতে, পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ
আছেন যারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নিজে খেয়েছেন। জানা গেছে, তাদেরক পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে যখন রোগ বাড়তে থাকে এবং ডাক্তার তাদের ওষুধ দেন, তখন রোগ নিরাময় হয় না। কারণ শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে গিয়েছে। সহজ ভাষায় বুঝতে পারলে শরীরে ভারী থেকে ভারী অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব
থেমে যায় কারণ ‘নিজেরেদের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়ার ফলে রেজিস্ট্যান্স পাওয়ার কমে গেছে। ল্যানসেট বিশ্বের একটি স্বনামধন্য মেডিকেল জার্নাল। ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেন এমন অনেক গবেষকদের মতে, বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে এর প্রভাব কমতে শুরু করে। এই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে Azithromycin উল্লেখ করা হয়েছে, যা টফির মতো,
চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়াই প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহার করা হত। অনেক মানুষই মেডিকেল স্টোরে গিয়ে নিজের মত অ্যান্টি বায়োটিক কিনে নেন। ভারতে চিকিৎসা ও হাসপাতাল ব্যবস্থা জটিল। এছাড়াও দুই ধরনের প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। অনুরূপ অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ছোট শহরে রোগীদের জন্য নির্ধারিত হয়। যারা ছোট বেসরকারি হাসপাতাল ও
ক্লিনিক, তারা ডাক্তারের ফি এড়াতে চান বলে ছোটখাটো রোগের কারণে সেখানে যান না। এই পরিসংখ্যানগুলো দেখুন, আপনি নিজেই অবাক হবেন- *২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। *২০১৯ সালে, মোট ওষুধের মধ্যে ৭৭.১ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়েছিল *বিশ্বে বিক্রি হওয়া সমস্ত
অ্যান্টিবায়োটিকের ৭২.১ শতাংশ অনুমোদিত ছিল না। আপনি যদি কোনো মেডিকেল স্টোর থেকে যে কোনো ধরণের ওষুধ কিনছেন বা কাউকে জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কারও প্রেসক্রিপশন দেখে যদি ভাবে আপনারও একই সমস্যা তাই ওষুধও একই হবে তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যে কোনো ধরনের রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর সঙ্গে ডাক্তার আপনাকে যে কোর্সটি বলবেন তা সম্পূর্ণ করুন।