বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু আজকালকার দিনে বাজার থেকেই বিভিন্ন মসলা তথা লঙ্কার গুঁড়ো কিনে থাকেন। তবে আগেকার দিনে কিন্তু এমনটা করা হতো না। পূর্ববর্তী সময়ে বাড়িতেই তৈরি করা হতো মসলা বা নানান ধরনের পাউডার। এখনো অনেকেই এভাবে শুকনো লঙ্কা আর হলুদ
গুঁড়ো করে থাকেন। ঠিক তেমনভাবেই কাঁচা লঙ্কাও কিন্তু গুঁড়ো করে নেওয়া যায়।তবে সেটা কিন্তু এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষ একেবারেই জানেন না। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করে নেব কিভাবে আপনারা বাড়িতে কাঁচা মরিচের গুঁড়ো তৈরি করে নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক। কাঁচামরিচ কিন্তু রান্নার কাজ থেকে শুরু
করে অনেক কাজেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে এটি কতটা পুষ্টিকর উপাদান। এটিতে রয়েছে ক্যাপসেইসিন নামক উপাদান। ক্যাপসেইসিন আমাদের দেহের প্রদাহ ও ব্যথা কমায়। এছাড়া আমেরিকার ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চের তরফে বলা হয়েছে, টাটকা কাঁচা মরিচ আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমায়। এই ক্যাপসেইসিন উপাদান ক্যান্সারের প্রবণতাকে
অনেকখানি হ্রাস করে। কাঁচামরিচ কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও অনেক ক্ষেত্রেই সাহায্য করে থাকে। যাতে কোন রকম ভাবে মরিচের মধ্যে ভেজাল না মিশে যায় তাই আজকে আমরা জেনে নেব কিভাবে বাড়িতে কাঁচামরিচের গুঁড়ো তৈরি হয়। প্রথমেই আপনাকে পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে এগুলিকে পেস্ট করে ফেলুন। তারপর এগুলিকে চার ফালি করে
ভালোভাবে আপনারা রোদে শুকিয়ে নিন বেশ কয়েকদিন সময় নিয়ে।অনেকেই কিন্তু একদিন রোদে শুকিয়েই ভাবেন ভালো গুঁড়ো তৈরি হয়ে যাবে। সেটি কিন্তু একেবারেই নয়। অন্ততপক্ষে দুই থেকে পাঁচ দিন আপনাদের কাঁচা মরিচ ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।এর ভেতরের সমস্ত
জলাভাব চলে গেলে আপনারা সময় করে এটিকে গুঁড়ো করে নিন।অন্যান্য যে কোন রান্নার মতই আপনারা এটি কে ব্যবহার করতে পারবেন।
আমাদের প্রতিবেদনটি পড়ার পর স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি অবলম্বন করলে কিন্তু খুব সহজেই কাঁচামরিচের গুড়ো আপনারা বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন।