শিশুর মানসিক সুস্থতার জন্য খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখা উচিত যেগুলো শিশুর প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করে। আসুন জেনে নেই বিস্তারিত… 1. ডিম: বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ৪৫-৫৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন
একটি করে ডিম খাওয়ালে প্রোটিনের যোগান পূর্ণ হয়। এছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। আরো থাকে কলির নামক পুষ্টিকর উপাদান যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরী। 2. ওটমিল: আর একটি পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে ওটমিল। সমৃদ্ধ ওটমিল বাড়ন্ত শিশুদের
শক্তি সরবরাহ করে। দুধ: দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। শিশুর হাড় গঠনে কার্যকর এসব উপাদান। 3. পালং শাক: শিশুকে খাওয়াতে পারেন পালং শাক। আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি এর চমৎকার উৎস এটি।
এগুলো শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে, তেমনি মজবুত হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে। 4. মিষ্টি আলু: পুষ্টিকর খাবার হিসেবে মিষ্টি আলুর জুড়ি নেই। এতে থাকা ফাইবার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ শিশুর বিকাশে অপরিহার্য। 5. পিনাট বাটার: সাধারণ মাখনের চাইতে পিনাট বাটার
বেশি পুষ্টিকর। এতে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন থাকে। ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে প্রায় ২৮ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। 6. দই: দই রাখতে পারেন শিশুদের খাদ্যতালিকায়। প্রতিদিন খানিকটা টক দই খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত হবে। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভরপুর দই খাবার হজম করতে সাহায্য করে।