ভারতে মহামারীর মতো ছড়াচ্ছে স্তন ক্যানসার (Breast Cancer)। পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে প্রতি ২২ জনে এক জন মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে আশার কথা হল, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এই মারণ রোগকে রুখে দেওয়া
সম্ভব। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। এখানে স্তন ক্যানসারের ৯টি লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হল। স্তন এবং তার আশে-পাশে এই পরিবর্তনগুলো চোখে পড়লেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১. লাম্প: স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হল স্তনে লাম্প বা গুটলি। ত্বক বা মাংসপেশির অভ্যন্তরে এই লাম্প শক্ত, নরম, স্থির বা হাত দিলে অবস্থান বদল করতে পারে। এমন কিছু দেখলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. ব্যথা: অনেক সময় স্তনে চুলকানি বা ব্যথা হয়। তাড়াহুড়োয় ভুল ব্রা পরার জন্য কিংবা পিরিয়ড জনিত কারণেও এমনটা হতে পারে। কিন্তু যদি ২ সপ্তাহের বেশি ব্যথা থাকে, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. শিরা দেখা যাচ্ছে: আচমকাই স্তনের শিরা দেখা যাচ্ছে। এমনটা হলে সাবধান। এটা স্তন ক্যানসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
৪. স্তনবৃন্ত থেকে দুধ বা তরল নিঃসরণ: গর্ভধারণ কিংবা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মহিলাদের স্তনে দুধ আসে। এটা হয় প্রোল্যাকটিন নামক হরমোনের কারণে। কিন্তু এ ছাড়া যদি স্তনবৃন্তে দুধ বা সাদা তরল নিঃসরণ হয় তাহলে সাবধান হতে হবে।
৫. লালভাব: স্তন এবং তার চারপাশে যদি লালভাব দেখা দেয় কিংবা গরম হয়ে থাকে তাহলেও সাবধান হতে হবে। এটাও স্তন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
৬. ফ্যাকাসে ত্বক: কোনও কারণ ছাড়াই ত্বক যদি ফ্যাকাসে হয়ে যায় কিংবা হলুদ বর্ণ ধারণ করে তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এমনটা ক্যানসারের কারণে হতে পারে।
৭. উল্টানো বা ঢুকে যাওয়া স্তনবৃন্ত: অনেক সময় স্তনবৃন্তের ঠিক পিছনেই টিউমার বাসা বাঁধে। এর ফলে স্তনবৃন্ত ভিতর দিকে ঢুকে যায়। উল্টে যাওয়ার মতো দেখতে লাগে। এমনটা হলে অবিলম্বে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
৮. স্তনের আকার পরিবর্তন: আচমকা যদি স্তনের আকার বদলে যায় তাহলে সতর্ক হতে হবে। দরকারে পরীক্ষা করে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ এটাও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
৯.স্ফীত লিম্ফ নোড: অনেক সময় স্তনে বা শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি হয়। এগুলোকে লিম্ফ নোড হলে। অনেক সময় এই লিম্ফ নোডগুলো ফুলে যায়। অনেকেই জানেন না এটাও এক ধরনের ব্রেস্ট ক্যানসার। তাই এমনটা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।