বয়স বাড়লে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। কোনও ভাবেই এটাকে আটকানো সম্ভব নয়। কিন্তু অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দূষণ, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ফলে কম বয়সেও মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে শুরু করে। চোখ এবং ঠোঁটের আশে-পাশে বলিরেখা দেখা দেয়। ফলে অল্প
বয়সের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। অকাল বার্ধক্যের ছাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নামি-দামি বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলোতে অত্যধিক রাসায়নিক থাকে। ফলে কাজের কাজ তো কিছু হয় না, উল্টে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাহলে উপায়? অকাল বার্ধক্য থেকে
মুক্তি পেতে সবচেয়ে কার্যকরী হল আয়ুর্বেদ চিকিৎসা। বলিরেখা দূর করে ত্বককে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এর জুড়ি নেই। সবচেয়ে বড় কথা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কোনও রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয় না। ফলে ত্বক থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
1. ফেস মাসাজ: তেল দিয়ে মুখে মাসাজ করা হয়। আয়ুর্বেদের পরিভাষায় একে বলে অভ্যঙ্গম। পিত্ত দোষকে নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে অভ্যঙ্গমের জুড়ি নেই। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদে এই মাসাজ চলে আসছে। মাসাজ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়েও মুখে মাসাজ করা যায়।
2. দুধ: তেলহীন ক্লিনজার হিসেবে দুধের জুড়ি নেই। নিয়মিত বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্ট এবং মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় সিবাম কিংবা তেলের কারণেও এটা হতে পারে। দুধ দিয়ে মুখ ধুলে পুরোটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
3. যোগাসন: শরীরের নমনীয়তা এবং মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য যোগাসন অনুশীলনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এর বিকল্প নেই। আসলে ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এটা ত্বককে পুষ্টি যোগায়। শরীর হয়ে ওঠে সুন্দর এবং তরতাজা।
4. মধু: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মধুকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বেশি করে মধু নিয়ে মুখে, ঘাড়ে মেখে ১৫ মিনিট শুকোনোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। এটা ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে। সপ্তাহে ২ দিন করলে সবচেয়ে ভাল ফল মিলবে।
5.প্রচুর জল: স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে চাইলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া উচিত। তাছাড়া জল শরীরের টক্সিক পদার্থ বের করে দেয়। তবে শুধু জল নয়, ফলের রস এবং প্রচুর শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।