রক্তচাপ রোগটি কম-বেশি সবারেই রয়েছে। নানা কারণে আপনার রক্তচাপ বেড়ে কিংবা কমে যেতে পারে। আর অনেকের মুখেই শুনে থাকবেন প্রেসার ওঠা নামা করছে। এটা খুব খারাপ লক্ষণ। একজন মানুষ যদি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকে, তাহলে তার এই সমস্যা হয় না।




আপনার যদি মাথা ঘোরে, অবসাদ, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বমি বমি ভাব আসে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার লো-প্রেসার হয়েছে। অপুষ্টিজনিত কারনে এই সমস্যা হতে দেখা যায়। যে সব মেয়েরা সন্তানসম্ভবা, তাদের প্রথম ৬ মাস প্রেসার লো থাকে। শরীরের হরমোনের কারনে এটা হয়। এই সময় মাথা ঘোরা, বমি হওয়া, মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এই সব কারন গুলি হতে দেখা যায়। এই সময় শরীরের নাড়ী বা পালস এর গতি বেড়ে কিংবা কমে যেতে পারে। এক নজরে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে যা করবেন:




হঠাৎ প্রেসার বা রক্তচাপ বেড়ে গেলে শাক সবজি, ডাল, ছোলা, লাল আটা, টমেটো, লাল চালের ভাত খেতে পারেন। এই সব খেলে ভালো উপকার পাবেন। হটাৎ করে প্রেসার বেড়ে গেলে কম চর্বি যুক্ত খাবার খান। ১ কাপ দই খান, ১ গ্লাস দুধ পান করুন। এতে শরীরের অনেক উপকার হবে




বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা আধ কাপ করে ফল খান। মাঝারি সাইজের একটি আপেল খেতে পারেন, তবে ফলের রস খাওয়ার থেকে গোটা ফল খাওয়া ভালো।বিচি জাতীয় খাবার খান। যেমন ধরুন একটি কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ বাদাম বা আধকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি খান। তাহলেও অনেকটা রক্তচাপ কমে যেতে সহায়ত করবে এই বীজ জাতীয় খাবার।




এক নজরে হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে যা করবেন: হঠাৎ রক্তচাপ বা প্রেসার লো হয়ে গেলে ৫/৭টি কাঠ বাদাম খান, ২০ হতে ২২ টি চিনা বাদাম খান। এটি প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করবে। ৪. সারাদিনে বাড়ে বাড়ে নুন চিনির জল খেলে প্রেসার অনেক বেড়ে যায়। রোজ একটা করে গোটা ডিম সেদ্ধ খান আর ফল খান। তাহলেই প্রেসার বেড়ে যাবে। তবে আপনি চাইলে ভাত খাওয়ার সময় একটু করে কাঁচা লবণ খেতে পারেন, তবে বেশিদিন খাবেন না।




যদি হটাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে ১ কাপ কফি খেতে পারেন। বা হট চকোলেট খেতে পারেন। এটি প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। বিটের রস হাই প্রেসার ও লো প্রেসারের জন্য খুবই উপকারি। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়ও আপনি রক্তচাপ কমে গেলে ওরস্যালাইন খেতে পারে যেটি আপনার রক্তচাপ বাড়াতে সহায়তা করবে।







