প্রয়োজনের সময় আমরা যেন অনেক কিছুই হাতের নাগালে পাই না। এটা বাঙ্গালি স্বাভাবের মূল বৈশিষ্ঠগুলো মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ব্যাথা তো আর প্রয়োজন-অপ্রেয়োজন বুঝে আসে না। এই কারণে আগে থেকে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। বলাতো যায় না কখন কোন ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আর ব্যথা রোগটি প্রায় সকলেই অনুভব করেছেন।




আজ আনাদের সামনে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে এসেছি যা দিয়ে শরীরের ব্যাথা জরুরীভাবে কমাতে পারবেন। তবে দেড়ি কেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সে ঘরোয়া উপায়গুলো –




মাথাব্যথা: অনেক ব্যথার মধ্যে মাথা ব্যথা হলো অন্যতম একটি ব্যথা। মাথা ব্যথা হতে নিস্ত্রার পাওয়ার জন্য একটি শান্ত ঘরে বা ফাঁকা কোন স্থানে চুপ করে বসে থাকুন, তবে জায়গাটি হতে শান্ত। এছাড়াও এসেনসিয়াল অয়েল হালকা গরম করে মাথায় লাগালে ব্যথা দ্রুত কমতে শুরু করবে।




পেট ব্যথা: পেট ব্যথার মূলত হয়ে থাকে গ্যাস, অম্বল কিংবা পেট পরিস্কার না হওয়ার কারণ। এজন্য প্রথমে বাথরুমে গিয়ে দেখবেন আপনার পায়খানা ক্লিয়ার আছে কিনা। যদি পেট ক্লিয়ার না থাকে তবে গরম জল করে পান করুন। আর যদি গ্যাস , অম্বল মনে হয় তবে এক চিমটি আদা মুখে দিয়ে চিবান।




পিরিওডের ব্যথা: প্রতিটি নারীরই এই ব্যথার শিকার হয়ে থাকেন। এর থেকে পরিত্রান পেতে হলে আপনাকে দিনে অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে।, সুষম খাবার খেতে হবে। আর হট ওয়াটার ব্যাগ থাকলে সেটা দিয়ে সেঁক দিতে হবে। দেখবেন ব্যথা কমতে শুরু করছে।




পেশির ব্যথা: পেশিতে ব্যথা হলে বেশি করে জলপান করতে হবে। অনেক সময় পানি শূন্যতার কারণেও এমনটা হতে পারে। এর সাথে হাত পায়ে একটু ব্যয়াম করে নিতে পারেন। তাহলে দেখবেন যে, ব্যথা আস্তে আস্তে কমে শূন্যের কোঠায় নেমে আসছে।




গলার ব্যথা: গলায় ব্যথা কমানোর ঘরোয়া সহজ উপায় হলো, গরম জলের সাথে লবণ, এলাচ মিশিয়ে মুখে দিয়ে গারগেল করা। তাহলে দেখবেন যে আপনার গলার ব্যথা উপশম হতে শুরু হয়েছে। অনেক সময় টনসিলের কারনেও গলায় ব্যথা হতে পারে।




মাইগ্রেনের ব্যথা: শরীরের জলের ঘাটতি দেখা দিলে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা হয়। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা দেখা দিলে প্রথমে কয়েক গ্লাস জল পান করে দেখুন যে, আপনার ব্যথার অবস্থা কী দাঁড়ায়। যদি ব্যথা কমে যায় তো ভালো আর যদি না কমে তবে ডাক্তার দেখানোই উত্তম।







