সংসার জীবনে প্রতিটি নারীই চায় তার স্বামীকে সুখে রাখতে। স্বামী-স্ত্রী ২ জনের কর্তব্য একে অপরকে ভালো রাখা, সুখে রাখা এবং সারাজীবন একে অপরের পাশে থেকে জীবন অতিবাহিত করতে। তবে অনেক মেয়েই জানে না স্বামীকে কীভাবে সুখে রাখতে হয়।




নারীদর মনে ঘুরতে থাকে সেই সব চিন্তা যে কীভাবে স্বামীকে সুখে রাখা যায়। পতিব্রত নরীরা নিজের চেয়েও স্বামীর ভালো চান সবার আগে সেই সাথে স্বামীকে সুখে রাখার অদম্য চেষ্টা করে থাকেন। তবে স্বামীকে সুখে রাখতে চান না এমন নারী হয়ত হতে গোনা কয়েকজন থাকতে পারে।




সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর নানা কারণে ঝগড়া হতে পারে। তবে এটি সাময়িক, প্রতিটি সংসারে এমনটি দেখা যায়। এটি নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। তাই বলে কী স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা কমে যাবে? না কখনো না। অনেক নারীই ঠিক বুঝে উঠতে পারে না যে কী করলে তার স্বামী ভালো থাকবে। আপনি যদি নিজের স্বামীকে ভালো রাখতে চান তাহলে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।




১। নিজেকে সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে কাজের পর আপনর স্বামী যখন বাসায় ফিরবে তখন আপনার হাসি মাখা মুখখানি দেখে তার ক্লান্তি অনেকটােই কমে যাবে এবং আপনার স্বামী এতে অনেক খুশি হবে। এরপর মিষ্টি সুরে স্বামীর সাথে কুশল বিনিময় করুন।




২। আপনি স্বামীর জন্য মজার মজার স্পেশাল রান্না করুন যেগুলো আপনার স্বামী খেতে পছন্দ করে। এত দেখবেন আপনার স্বামী খুব খুশি হবে এবং আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যাবে। এতে আপনার ভালোবাসার বন্ধন আরো গভীর হবে। আত্মায় আত্মায় মিশে একাকার হয়ে যাবে ভালোবাসা।




৩। তবে কখনো যদি কোন কারণে বাাসায় ফিরে আসতে দেরি হয় তাহলে আপনার স্বামীকে ভুলেও সন্দেহ করবে না। বিশেষ করে ফোন নিয়ে। রাতে যদি কারো ফোন আসে তাহলে সেটি নিয়ে আপনার স্বামীর সাথে অহেতুক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বে না। কেননা প্রয়োজনে রাতের বেলায় ফোন আসাটা কোন জটিল কোন বিষয় না।




৪। সবসময় চেষ্টা করবেন স্বামীকে বিছানায় খুশি রাখতে। প্রতিটি পুরুষেই চায় তার বিছানার সম্পর্কটি মধুর হোক। এ জন্য নিজেকে আধুনিক হয়ে চলাফেরা করতে। কেননা আপনি যদি এতে সময় না দেন বা অনিহা প্রকাশ করেন এতে আপনার স্বামী মনক্ষুন্ন হবে।




৫। নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। এমন কোন কাজ করবেন না যাতে একে অপরের মাঝে সন্দেহ ঢুকে যায়। সেই সাথে স্বামীর নিকট হতে কোন সত্যে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না। সেই সাথে স্বামীর সেবা যত্ন করুন। মাঝে মাঝে বাসায় তাকে ম্যাসেজ করে দিন।




৬। নিজেকে সবসময়ই প্রস্তুত রাখবেন যেন স্বামী বলার সাথে সাথে আপনি তার সাথে বাইরে ঘুরতে বেড়েয়ে যেতে পারেন। যদি স্বামীর কোন কাজের ভুল হয় তাহলে তাকে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে ভুলেও তর্ক করতে যাবেন না বা স্বামীকে বকাঝকা করতে যাবেন না।




৭। স্বামীর পছন্দের জিনিসকে নিজের মনে পছন্দ করতে শিখুন। দেখবেন আপনার স্বামী অনেক খুশি হয়েছে। শুধু স্বামীকেই নয় তার পরিবারের লোকজনকে ভালোবাসতে শিখুন দেখবেন স্বামী আপনার জন্য পাগল !







