‘’সোনার হৃদয়ের মাছ’’ মৎস্যজীবীর ভাগ্য ফেরাল! – ছা-পোষা মৎস্যজীবীর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিল ১৯.৫ কেজি ওজনের অতিকায় সামুদ্রিক মাছ। শেষ পর্যন্ত নিলামে সেই মাছ বিক্রি হল ১.৫৬ লাখ টাকায়।ব’ঙ্গো’পসাগরের ধামর’া উপকূলে বৃহস্পতিবার ধ’রা পড়ে





বিশালাকার ঘোল মাছ, যাকে স্থানীয়রা বলেন তেলিয়া মাছ। ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জে’লার তালচুয়া ব্লকের মৎস্যজীবী গোবিন্দ মণ্ডল। মাছটি ভদ্রক জে’লার চাঁদবালি সৈকতের চান্দিনিপালা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে ৮,০০০ টাকা কেজি দরে মোট ১.৫৬ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন





মুম্বইয়ের এক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার এজেন্ট।ভদ্রকের ট্রলার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, দৈত্যাকৃতির মাছ দেখতে ও তার নিলাম ঘিরে ওই দিন বড়সড় ভিড় জমে যায়। দর শুরু হয় ৬,০০০ টাকা কেজি থেকে, কিন্তু মাছটি পুরুষ হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত দাম ওঠে ৮,০০০ টাকা





কেজি।মাছটি ৮,০০০ টাকা কেজি দরে মোট ১.৫৬ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন মুম্বইয়ের এক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার এজেন্ট। জানা গিয়েছে, ওষধি গু’ণের জন্য ঘোল মাছের চাহিদা বরাবরই তু’ঙ্গে। তার উপরে গোবিন্দর জালে ধ’রা পড়া মাছটির ওজনের ফলে দাম লাখের





গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়।ওড়িশা মৎস্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর (মেরিন) বসন্ত কুমা’র দাশ জানিয়েছেন, ‘এই মাছে রয়েছে আয়োডিন, আয়রন, ট্যরিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফ্লোরাইড থেকে সেলেনিয়ামের মতো গু’রুত্বপূর্ণ খনিজ। মাছের পাখনা থেকে তৈরি হয় অ’স্ত্রোপচারে ব্যবহৃত সলিউবল





স্টিচ। মাছের চামড়ায় থাকা উচ্চ মানের কোলাজেন থেকে বিভিন্ন ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী উৎপন্ন হয়।’তিনি জানিয়েছেন, ঘোল ওরফে ব্ল্যা’ক-স্পটেড ক্রোকার মাছকে বলা হয় ‘সোনার হৃদয়’ যুক্ত মাছ। মূলত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের এই সামুদ্রিক মাছের হৃদযন্ত্র একাধিক ওষুধের উৎস।









