সন্তানহীন দম্পতির দিন দিন সংখ্যা বাড়ছে, যেসব ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন আপনারা – করোনাভাইরাসের জেরে গৃহবন্দি থাকায় জন্ম হার বাড়বে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। কিন্তু ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকশন (আইএসএআর)-এর হিসাব





অনুযায়ী, ভারতে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। প্রতি ছয় জোড়া দম্পতির এক জোড়া সন্তানহীনতার শিকার। শহরাঞ্চলে বন্ধ্যাত্বের হার বেশি। আইএসএআর এর হিসেবে ২০১৯ সালে ভারতে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৭৫ লাখ। মেয়েরাই প্রধানত বন্ধ্যাত্বের জন্য





দায়ী এই ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে পুরুষদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে, দাবি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসকদের। সমীক্ষায় জানা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ১.৫ শতাংশ বেশি বন্ধ্যা’ত্বের সমস্যা দেখা যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের





পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ, এন্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ ও জেনিটাল টিবির জন্য বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার সাহায্যে সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়। পুরুষদের সমস্যা হলে মেল ইগোর কারণে একদিকে চিকিৎসা করাতে গাফিলতি





করেন, অন্যদিকে অবসাদ তৈরি হয়। সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে কিছু কিছু মানুষ নিজের পৌ’রুষ সম্পর্কে নিজেই সন্দিহান হয়ে অবসাদে ভোগেন। বাবা না হতে পারা আর পুরুষ’ত্বহী’নতা এক নয়। সন্তান উৎপাদনের জন্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে সুস্থ স্বাভাবিক ও গতিশীল শু’ক্রাণুর





প্রয়োজন। শু’ক্রাণুর অভাবেই সন্তান হতে অসুবিধা হয়। অত্যাধুনিক চিকিৎসার সাহায্যে ইকসি বা ইন্ট্রা-সাইটোপ্লাজমিক স্পা’র্ম ইঞ্জেকশন করে অতি স্বল্প সংখ্যক শু’ক্রাণুর সাহায্যেও সন্তান পাওয়া সম্ভব বলে ভরসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, অ্যাংজাইটি,





আঁটোসাঁটো অন্তর্বাস, অতিরিক্ত গরম ইত্যাদি কারণে শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যায়। অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি থাকলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। ধূমপান, মদ্য’পান-সহ অন্যান্য নে’শা স’ন্তান উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া চোট আঘাত ও কিছু ওষুধ ব্যবহারেও





শু’ক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। বেশি গরমে শু’ক্রাণুর কাউন্ট কমে যায়। কোলে ল্যাপটপ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলেও শু’ক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। সূত্র : আনন্দবাজার









