সকালে ১ কাপ চা ছাড়া যেন আমরা দিনটাই শুরু করার কথা ভাবতে পারি না। আর বাঙালিমাত্রই চা বিলাসী, এই কথাটি মোটামুটি সবারই জানা। দুধ চা, লাল চা বা রং চা, লেবু চা, আদাসহ আরও কত পদে চা রয়েছে। কিন্তু আপনি কি কখনো হলুদ চা খেয়েছেন? তবে হলুদ চা মিস করেছেন অনেকে।




আপনি হয়ত জানেন না যে হলুদ চা খেলে কি কি উপকার হতে পারে। হলুদ চা বানানো যেমন সহজ তেমনি এটি সুস্বাদুও বটে। এই চা পানের নানা প্রকার উপকারিতা রয়েছে। এই চা পান করলে শরীরের হরেক রকম রোগের প্রকোপ কমে যায়। হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্ট অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, কারমিনা। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।




যেভাবে বানাবেন হলুদ চা: প্রথমে ১ কাপ পরিমাণ জল নিয়ে গরম করবেন। এরপর এই জল গরম হয়ে গেলে এতে অল্প পরিমাণে মানে ১ চিমটি কাঁচা হলুদ মিশিয়ে দিন। এবার এই জলকে চায়ের মত করে ফুটান। এরপর এই ফটন্ত জলকে মিনিট ১০ রেখে দিয়ে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিবেন।




জলটি ছেঁকে নেওয়া হলে তাতে গোল মরিচ, মধু, লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু হলুদ চা। সকালে ঘুম হতে উঠে ফ্রেশ হয়ে তারপর এই হলুদ চা পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন টানা ১ সপ্তাহ এই চা পান করলে এর জাদুকরী ফলাফল নিজেই হাতেনাতে দেখতে পাবেন।




হলুদ চা পানের উপকারিতা:
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে উপকারি এই হলুদ চা। হলুদ চায়ে বিদ্যমান রাসায়নিত উপাদান যা চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে থাকে। ফলে আপনার দৃষ্টি থাকবে অটুট। আর দৃষ্টিশক্তি হারানোর কোন ভয় থাকবে না। হলুদ চায়ে উপস্থিত করকিউমিন রক্তে জমাট বাঁধা খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রাকে কমিয়ে দেয়।




নিয়মিত হলুদ চা পানে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ফলে আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না। হলুদ চায়ে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়ও হলুদ চা, হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, মাথার খুশকি দূর করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, লিভারের কার্য ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে।







