রঙ-চিনি-আটা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘খাঁটি’ খেজুর গুড়! – শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে চিনি, আটা, ক্ষ’তিকর রং ও কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে খেজুর গুড়। আর এসব নকল গুড়ই উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে খাঁটি গুড়ের লেবেল লাগিয়ে। গুড় তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত গোসাইরহাট





পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দাসেরজঞ্জল মৌজার সামসুদ্দিন মাদবরের ছেলে শহিদুল ই’সলাম মাদবর। শনিবার দুপুরে দাসেরজঞ্জল গ্রামের সহিদুলের বাড়িতে গিয়ে ভেজাল গুড় তৈরির দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম মাদবর মৌসুমের শুরুতে থেকেই





আটা, চিনি, কাঠ বার্নিশে ব্যবহৃত এবং মানবদেহের জন্য ক্ষ’তিকর রং ও কেমিক্যাল দিয়ে ভেজাল খেজুর গুড় তৈরি করে আসল খেজুর গুড় হিসেবে অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রি করেন। এতে সাধারণ মানুষ প্র’তারিতসহ ক্ষ’তিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা আরও জানান, সহিদুল





গোসাইরহাটের দাসেরজঙ্গল বাজারের একজন গুড় ব্যবসায়ী। এভাবে তিনি শত শত কেজি ভেজাল গুড় উৎপাদন করে খুচরা ও পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন। ভেজাল গুড় প্রস্তুতকারী শহিদুল ইসলাম মাদবর বলেন, রাজশাহী থেকে খেঁজুর গুড় আনেন তিনি। পরে তা আগুনে





জালিয়ে খেঁজুরের ছোট ছোট পাটালি গুড় তৈরি করেন। এতে মিষ্টিতে ব্যবহৃত রং ব্যবহার করেন তিনি। এছাড়া কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না বলে দা’বি তার। তবে গুড় তৈরির চুলায় ও পাশে গুড়ের সঙ্গে কেমিক্যালের মিশ্রণ দেখা যায়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো





সদুত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অ’ধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী বলেন, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, খাদ্যের সঙ্গে কেমিক্যালের মিশ্রণ করা গুরুতর অ’পরাধ। যারা এ ধরনের অ’পরাধের সঙ্গে জ’ড়িত তাদের বি’রুদ্ধে প্রশা’সনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।









