অস্বাভাবিক জীবন যাপন এবং বাজে খাদ্য অভ্যাসের কারণে সাধারণত রক্তনালী ব্লক হয়ে যায়। এ থেকে হতে পারে হৃদযন্ত্রের নানা প্রকার সমস্যা। কাজেই আমাদের সচেতন হতে হবে। এই রক্তনালী গোটা শরীরে জালের মত ছড়িয়ে রয়েছে। এর মথ্যে বিশুদ্ধ রক্ত যাতায়াতের পথকে ধমনী বলা হয় এবং দূষিত রক্ত যাতায়াতের রাস্তাকে বলা হয় শিরা।




বিভিন্ন কারণে রক্তনালীর গায়ে চর্বি জমে রক্তনালী ব্লক হয়ে বা সরু হয়ে বন্ধ হয়ে যায় পথ। তবে আপনি জানেন কি? সুস্থ্যতা নিশ্চিত করতে প্রকৃতিতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা রক্তনালীর ব্লক প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক যেসব খাবার রক্তনালী ব্লক প্রতিরোধে কাজ করে থাকে:




আপেল: প্রচলিত রয়েছে যে, রোজ নাকি ১টি করে আপেল খেলে আর ডাক্তারে কাছে যেতে হয় না। আপেলে রয়েছে পেকটিন নামক এমন একটি কার্যকরী উপাদান রয়েছে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাপ কমায়। সেই সাথে রক্তনালীতে কোন প্রকার চর্বি জমতে দেয় না।




দারুচিনি: দারুচিনি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ভেষজ। এটি কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে। রোজ ১ চামচ করে দারুচিনিরি গুঁড়ো খেলে দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় ফলে রক্ত নালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার হাত হতে রক্ষা হয় অতি সহজে।




ব্রকলি: ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা শরীরের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজ করে থাকে আবার রক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকেও রক্ষা করে থাকে। ব্রকলির ফাইবার দেহের কোলেস্টেরল কমায় ও উচ্চরক্ত চাপের ঝুঁকিও কমিয়ে আনতে সহায়তা করে থাকে।




কমলার জুস: কমলার রস একটি আদর্শ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। দেহের সার্বিক রোগ মুক্তিতে এর অবদান অপরিসীম। বিশুদ্ধ কমলার জুস পান করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তনালীর উন্নতিতে কাজ করে। যারফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার হাত হতে সুরক্ষিত থাকে।




সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার এবং বিশেষ ধরণের খনিজ উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলি সবই হার্ট ও রক্তনালীর উন্নতি সাধন করে থাকে। সবুজ শাক সবজির খনিজ উপদান প্রোটিন কমিয়ে হার্ট ও রক্তনালী সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে থাকে।




গ্রিন টি: গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যাচেটিন নামক খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে থাকে। রোজ চা কফির পরির্বতে গ্রিন টি পান করলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকাংশে।







