স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এই শব্দগুলো শুনলে আমাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। তবে অনেকেই স্ট্রোক আর মাইল্ড স্ট্রোক সর্ম্পকে জানে না। ফলশ্রুতিতে অকালে নেমে আসে মৃত্যু! যা আমাদের কল্পনার বাইরে। আমরাতো কেউই অকাল মৃত্যু কামনা করিনা। সবাই বেশিদিন বাঁচতে চাই।




স্ট্রোক বলতে সাধারণত মস্তিস্কের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটানোকে বুঝায়। স্ট্রোক ২ ধরনের হয়ে থাকে। একটি রক্তক্ষরণজনিত আপরটি হলো রক্তক্ষরণ ছাড়াই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাইল্ড স্ট্রোক খুবই ভয়ানক একটি রোগ! এতে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভবনা খুবই কম।




যে কারণে মাইল্ড স্ট্রোক হয়: মস্তিস্কে যে রক্ত যায় তা ক্রারেটিভ আর্টারী অর্থাৎ গলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যেসব রক্তনালী থাকে তাতে চর্বি জমে যায়। যে কারণে রক্তনালী সরু হয়ে রক্ত প্রবাহ কমে যায় ফলে স্কিমিক স্ট্রোক বা মাইল্ড স্ট্রোক হয়। এই স্ট্রোকের ক্ষতি কেমন হবে তা র্নিভর করে রক্তনালী সরু হওয়ার উপরে নির্ভর করে।




মাইল্ড স্ট্রোকের লক্ষণ: মাইল্ড স্ট্রোক হলে হলে অল্প সময়ের জন্য রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এটি ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগীর হাঁটতে হাঁটতে মাথা ঘুরতে পারে। হঠাৎ করে বসে থেকে উঠলেও রোগীর মাথা ঘুরতে পারে।




অনেক সময় রোগী অচেতন হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগী প্যারালইজড হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে কিংবা রোগী স্থায়ীভাবে প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে । মস্তিস্কে যদি রক্তক্ষরণ অল্প হয় তাহলে মাথা ঘোরা অব্যহত থাকবে। আর যদি বেশি হয় তবে শরীরের যে কোন অংশ অসার হতে পারে।




মাইল্ড স্ট্রোক হলে করণীয়: যদি দেখেন কারো মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের নিকটে নিয়ে যেতে হবে। এরপর সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে দেখতে হবে যে এটি কোন টাইপের স্ট্রোক। রোগ সঠিকভাবে নির্নয় করে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে পারবে।




মাইল্ড স্ট্রোক এর ঝুঁকি যেভাবে এড়িয়ে চলবেন: কোন ব্যক্তি যদি চর্বি জাতীয় খাবার বা ধুমপান এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেন তাহলে তিনি সহজে এই মাইল্ড স্ট্রোক এড়িয়ে চলতে পারবেন। এছাড়াও হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সেই সাথে শারীরিক ব্যয়াম এর ঝুঁকি কমায়।







