ধর্ম নিয়ে সেই আদিকাল হতে যে যুদ্ধ তার ইতিহাস আমরা জানি। বর্তমানেও যে ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ, সংঘাত তা আমারা পেপার পত্রিকায় চোখ বুলালে দেখতে পাই। ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজন করার প্রক্রিয়া এখনও প্রচলিত। সম্প্রতি সময়ে ভারতেও আমরা দেখতে পাই বাবরি মসজিদ নিয়ে কী না হুলুস্তুর কাণ্ডধর্ম নিয়ে।




আর সেই আবহতে সাম্প্রদায়িকতার এক নজির গড়ল কেরলের আলাপুঝার চেরুভাল্লি মুসলিম জামাত মসজিদ। ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে রইল কেরলের এই মসজিদ। গত রবিবার এই মসজিদে চার এক হলো এক হিন্দু বর-কনের। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছে। গত রবিবারের ওই বিয়ের আয়োজক ছিল আলাপুঝার চেরুভাল্লি মুসলিম জামাত মসজিদ। আর সেই বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানিকতা সম্পর্ন হয় মসজিদ চত্তরে।




সেই অনুসারে সাজানো হয় পুরো মসজিদটি মানে পুরো বিয়ের সাজে সেদিন সেজেছিল এই মসজিদ। সে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থানীয় মানুষজন বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করেছে। মসজিদ চত্তরে হিন্দুরীতিতে শরৎ ও অঞ্জুর বিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে সাতপাক ঘুরে তাদের বিয়ে সম্পর্ন করে ফেলেন। এসময় মসজিদ চত্তরে উপস্থিত ছিল দুই সম্প্রদায়ের হাজারখানেক মানুষ। এই ব্যতিক্রমী বিয়ে নিয়ে বেশ একটা সম্প্রদায়ীকতার মিলন লক্ষ্য করা গেছে সেখানে।




বিয়েতে তাঁদের জন্য ছিল কেরলের ঐতিহ্যবাহী নিরামিভ ভোজও। কনে অঞ্জুদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই মেয়ের বিয়ের জন্য অঞ্জুর মা মসজিদ কমিটির কাছে সাহয্যে চেয়েছিলন। সেই মায়ের আর্জিতে সারা দিয়েছিলেন মসজিদ কমিটি। এ বিয়ের পুরো অয়োজন করেন মসজিদ কমিটি। সেই মতে সাজানো হয়েছিল মসজিদ চত্তর।




অঞ্জুকে বিয়ের উপহার হিসেবে ১০টি স্বর্ণমুদ্র ও নগদ ২ লক্ষ টকা প্রদান করেছেন তাঁরা। সেই সাথে তাঁরা প্রায় ১ হাজার মানুষকে ভোজেরও ব্যবস্থ্য করেছিল। ফেসবুকে নবদম্পতি শরৎ ও অঞ্জু, তাঁদের পরিবার এবং সমজিদ কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারেই বিজয়ন।




মুখ্যমন্ত্রীর মতে, কেরল সবসময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির সুন্দর উদাহরণ বহন করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিটি ইতিমধ্যে হাজার হাজার শেয়ার হয়েছে। সেই সাথে এই বিয়ের সাথে জড়িত সকলের প্রশংসায় পঞ্চমুখর নেটিজেনরা। ধর্মের নামে সব বিভেদ মুছে যাক মানুষে মানুষে সাম্প্রদায়িকতা বজায় থাক।







