ভাগ্য ফিরাতে হলে নিয়মিত এই ৪টি মন্ত্র পাঠ করুন – সেই ছোট থেকে শুনে আসছি খারাপ-ভাল নিয়েই আমাদের জীবন। তো তো নাকি চলার পথে কখনও সুখ আসবে, তো কখনও বাম্পারের মতো দুঃখ। কিন্তু দুঃখের এই বড় বড় বাম্পারে হোঁচট খাওয়ার পর যখন হাত পা কেটে





যায়, তখন কী করতে হবে সেই নিয়ে কেউ কখনও বলেনি। তাই তো মাঝে মাঝে অবসাদের পাহাড় যেন চেপে বসে কাঁধের উপরে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তা বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক দুঃখের বানে শতছিদ্র হতে থাকে শরীর এবং মস্তিষ্ক। তখন যেন





কাছের মানুষরাও দূরে যেতে থাকে। একাকী, রণক্লান্ত শরীরটা তখন একটাই উত্তর পেতে চায়, “আমার ভাগ্য ফিরবে কবে। কবে খুশির জোয়ারে স্নাত হবে আমার শরীর।” এক সময় প্রশ্নগুলো কেমন যেন হারিয়ে যায়। আর আমরা এক অনন্ত অপেক্ষায় বসে থাকে জীবনে খুশির





সূর্যদয় দেখার জন্য। হয় কী সেই সূর্যদয়? আজ এই প্রবন্ধে ভাগ্য ফরানোর এমন ৪ টি মন্ত্রের বিষয়ে লেখা হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে খুশির সূর্যদয় হবেই হবে! জীবনে ফিরবে খুশির বসন্ত। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, জীবনকে আনন্দ এবং খুশিতে ভরিয়ে তুলতে জেনে নিন না সেই সব বৈদিক মন্ত্রগুলি সম্পর্কে, যা খুশির সিন্দুকের দরজা খুলে দেবে আপনাদের সামনে।





১. ভগবান গণেশের মন্ত্র: ধর্মীয় গুরুদের মতে এই মন্ত্রটি দিনে কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে ফল মিলতে বাধ্য। ফিরবে ভাগ্য। বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন। কে বলতে পারে হয়তো সুখের দিন আর কয়েকদিনের মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়বে। মন্ত্রটি হল- “ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।” প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মনে কোনও খারাপ চিন্তা আনবেন না। তাহলেই সুফল মিলতে শুরু করবে।





২. দূর্গা মন্ত্র: এই মন্ত্রটি পাঠ করলে ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে জীবন খুশিতে ভরে উঠবে, কালো শক্তি সঙ্গ ছাড়বে, আটকে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং খারাপ চিন্তা মন থেকে দূর হবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি প্রতি দিন কম করে ১০৮ বার জপ করতে হবে, তবেই মিলবে সুফল। মন্ত্রটি হল- “দেহি সৌভাগ্য়িয়াম আরোগ্যিয়াম দেহি মে পরামম সুখাম কুপম দেহি জায়াম দেহি, যশো দেহি দ্বিখোজাহী।”





৩. রিদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্র: কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে এই মন্ত্রটি দারুনভাবে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে জীবনে খুশির রাস্তা যাতে প্রশস্ত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয় অর্থনৈতিক পরিস্থিত ভাল করতেও এই মন্ত্রটি সাহায্য করে। তাই তো যারা কয়েক মাসে ধরে কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় নানা বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন, তাদের আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে ৫ বার মন দিয়ে মন্ত্রটি পাঠ করলেই ভাগ্য ফিরতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে খুশির বারি বর্ষণও হবে জীবনের রুক্ষ মাটিতে। রিদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্রটি হল-“সাধক নাম জাপেহী লে লায়েই, হোহি সিদ্ধ আনিমাদিক পেয়ে।”





৪. লক্ষ্মী মন্ত্র: অর্থ, যশ, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে মা লক্ষ্মীর এই মন্ত্রটি। শুধু তাই নয়, সব ধরনের বাঁধা পেরিয়ে জীবনে যাতে শান্তি আসে, স্থিরতা আসে সে দিকেও খেয়াল রাখে। একথায় বলা যাতে পারে সার্বিক খুশির চাবিকাঠি হল এই মন্ত্রটি। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। তবে তার আগে মা লক্ষ্মীর ছবিতে ফুল দিন। ধুপ -ধূনো জ্বালান। তারপর মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দিনে পাঁচ বার, টানা ১১ দিন এই লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করলেই ফল মিলবে। মন্ত্রটি হল- “ওম শ্রিম অখন্ড সৌভাগ্য ধন সমৃদ্ধিয়াম দেহি দেহি নামাহ।”





মন্ত্র পাঠের সঠিক পদ্ধতি:
যথাযথ সুফল পেতে কতগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তবেই মন্ত্র পাঠ করা উচিত, না হলে কিন্তু কোনও ফলই মেলে না। এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হয়, সেগুলি হল- ১. উচ্চারণ যেন স্পষ্ট এবং সঠিক হয়। ২. আপনি যে মন্ত্রটি জপ করছেন, তা কতবার পাঠ করতে হবে তা ভাল করে জেনে নেবেন। ৩. মন্ত্র পাঠের সময় হাতে ১০৮ টা পুঁথির মালা রাখবেন। এমনটা করলে কতবার মন্ত্রটি





জপ করছেন তা বুঝতে পারবেন। ৪. মন্ত্র পাঠ করার সময় চোখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন। ৫. যে ভগবানের মন্ত্র জপ করছেন, চোখ বন্ধ করে তাঁর অবয়বটা কল্পনা করার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে মন্ত্রের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যাবে। ৬. রোবটের মতো নয়, বরং মন থেকে
মন্ত্র পাঠ করার চেষ্টা করবেন। তাতে অনেক বেশি শান্তি পাবেন। ৭. প্রতিদিন কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে মন্ত্র পাঠ করবেন। তাতে সুফল মিলবে তাড়াতাড়ি।









