বিয়ে হলো নতুন জীবনের পথচলা। হাজারটা জিনিসের মাঝে নিজেকে পরির্বতন করে মেনে নেওয়া। সামাজিক, আর্থিক, পারিবারিক জীবনসহ আরও নানা কিছুর পরির্বতন ঘটে। আর বিযের বছর ঘুরতে না ঘুরতে মেয়েদের সবচেয়ে বড় যে পরির্বতন হয় সেটা হলো মোটা হওয়া বা ওজন বেড়ে যাওয়া।




বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে হালকা গড়নের মেয়েটার ওজন দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন যে কেন এই পরির্বতন। অনেকেই মনে করে থাকেন যে নিয়মিত শারীরিক মি’লনের কারণে এটি হয়ে থাকে। এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা। যা আপনি দীর্ঘদিন ধরে জেনে আসছেন।




আসলে এই শারীরিক পরির্বতন অন্য কারণে হয়ে থাকে। তবে সুস্থ্য শারীরিক মি’লনের ফলে হার্ট ভালো থাকে, মানসিক চাপ কম হয়। মন থাকে চাঙ্গা ও ফুরফুরা। আর অনেকেই এটাকেই মনে করে থাকেন মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ। মোটা হওয়ার সাথে এর তেমন কোন সর্ম্পক নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত –




১। শারীরিক মি’লনের ব্যালেন্স এর অভাবের কারণে অনেক সময় শরীরের কিছু হরমোন পরির্বতন হয়। যা প্রভাবে ওজন বেড়ে যায়। তবে শুধু মি’লন নয় এর সাথে আরও অনেক কিছু নির্ভর করে। সেক্স হরমোন কমা বা বাড়ার উপরে শরীরের ওজন বাড়ার বিষয়টি নির্ভর করে। তাই ওজন বাড়তে থাকলে হরমোন লেভেল চেক করে নেওয়া উত্তম।




২। মিলনের ফলে হার্ট ভালো থাকে, স্ট্রেস কমে এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরী বার্ণ হয়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।




৩। ওজন বাড়ার জন্য শারীরিক মি’লনকে দায়ী করা বাদ দিন। বরং স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পক সুন্দর রাখতে মি’লনের প্রয়োজন রয়েছ। সেই সাথে স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাবার এবং শরীর চর্চার প্রয়োজন রয়েছে।




৪। বিয়ের পর শুধু মেয়েদের ওজন বাড়ে না বরং ছেলেদেরও বাড়তে পারে ওজন। বিয়ের পর অন্যান্য নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই ওজন বৃদ্ধির বিষয়টি। ওজন বাড়ার সাথে মি’লনের কোন সর্ম্পক নেই।




বিয়ের আগে হোক আর পরে হোক ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষম ও পরিমিত খাবার এবং শারীরিক পরিশ্রমের বা শারীরিক ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।







