বাড়িতে শঙ্খ থাকলে ভুলেও এই কাজগুলো করবেন না! দূর্গতি নেমে আসতে পারে সংসারে – হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ বহুদিনের। পুরাণ কাল থেকে পুজো-অর্চনার কাজে লেগে আসছে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। শাস্ত্র মতে পুজো শুরু করার আগে এবং পরে যদি নিয়ম করে





শঙ্খ বাজানো যায় তাহলে গৃহে শুভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে, ভাগ্যও ফিরে যায়, জীবন সুখ-শান্তি এবং আনন্দে ভরে ওঠে। শুধু তাই নয়, শুভ শক্তির উপস্থিতির কারণে কুদৃষ্টি এবং কালো যাদুর প্রভাবও কাটতে শুরু করে। ই কারণেই প্রতিদিন





শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে শঙ্খ রাখলে।কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই নিয়মগুলি না মানলে ভালো হওয়ার থেকে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। নিয়মগুলি জানার আগে শঙ্খের ইতিহাস সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়াটা একান্ত





প্রয়োজন। পুরাণে উল্লেখ পাওয়া যায় যে সমুদ্রমন্থনের সময় মহাসমুদ্রের গর্ভ থেকে উঠে এসেছিল শঙ্খ, যা পরে জায়গা পায় ভগবান বিষ্ণুর হাতে। বিশ্বাস করা হয় যে চন্দ্র, সূর্য এবং বরুণ দেব শঙ্খের একেবারে নিচে অবস্থান করেন। মধ্যভাগে থাকেন প্রজাপতি এবং বাকি অংশে





অবস্থান করেন মা গঙ্গা এবং সরস্বতী। এই কারণেই বাড়িতে শঙ্খ রাখলে এই সব দেবদেবীর আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব হয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও একথা মেনে নিয়েছে যে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে তার থেকে সৃষ্টি হওয়া শব্দের কারণে গৃহে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা মারা যায়। ফলে রোগের আশঙ্কা কমে। এবার জেনে নেওয়া যাক যে বাড়িতে শঙ্খ রাখলে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেগুলি হল…





১. ঠাকুর ঘরের দরজা খোলার আগে শঙ্খ বাজাতে হবেঃ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে পুজো শুরু করার আগে শঙ্খ বাজানো একান্ত প্রয়োজন। শঙ্খ না বাজিয়ে ঠাকুর ঘরের দরজা খুললে নাকি দেবের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সেই সঙ্গে গৃহে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।





২. ভুলেও বাড়িতে শঙ্খনি রাখবেন নাঃ আসলে শঙ্খ মূলত দুই ধরনের হয়, পুরুষ শঙ্খ এবং মহিলা শঙ্খ। বাড়িতে শঙ্খনি রাখলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই জিনিসটি গৃহস্থের প্রতিটি কোন অপবিত্র করে তোলে। ফলে দেব-দেবীদের ক্ষমতা কমতে শুরু করে।





৩. বাজানোর এবং পুজোর শঙ্খ আলাদা করতে হবেঃ পুজো শুরু এবং শেষ করার সময় যে শঙ্খ বাজানো হয় তাতে কিন্তু পুজো চলাকালীন দেবকে জল নিবেদন না করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি দেখেই থাকবেন একটি ছোট শঙ্খে জল ভরে তা দিয়ে আরতি করা হয়। এমনটা করার পিছনে কারণ হল দেবেকে যা কিছুই নিবেদন করা হয় তা শুদ্ধ এবং পবিত্র হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু যে শঙ্খ আমরা বাজাই তা আমাদের মুখের সংস্পর্শে আর শুদ্ধ থাকে না।





৪. ভগবান বিষ্ণুর আগমণ ঘটেঃ শাস্ত্র মতে শঙ্খ বাজানোর সময় শ্রী বিষ্ণুর আগমণ ঘটে। ফলে পরিবারের দুঃখ দূর হয়। সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে সামাজিক এবং কর্মজীবনেও সম্মান বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হল শঙ্খ বাজানোর পর তা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ভুলেও অপরিষ্কার জয়গায় শঙ্খটি রাখবেন না।





৫. আরও যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবেঃ শঙ্খের মুখ যেন সব সময় দেবতাদের দিকে থাকে। এমনটা করলে তবেই কিন্তু বাড়িতে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটবে। ঠাকুর ঘরে দুটো বাজানোর শঙ্খ ভুলেও রাখবেন না, শঙ্খে জল ভরে শিব লিঙ্গের উপর ফেলবেন না।









