নিজের এই ‘কথাগুলো কখনোই অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না’ করলেই মহাবি’পদ – পুরুষ ও নারীদের স্বভাব কিছুটা আলাদা। নারীরা প্রায় সব কথা অন্যদের কাছে শেয়ার করে থাকে। কিন্তু পুরুষেরা অনেক সময় সেটা করেন না। জীবনে এমন কিছু কথা থাকে যা পুরুষদে কাউকে










বলা ঠিক নয়। আমারা সকলে আচার্য্য চাণক্যের কথা জানি। আর তার নীতি সম্পকে সকলেই জানি।যে ব্যক্তি তার নীতি মেনে চলে তার জীবন নিঃসন্দেহে অন্যদের তুলনায় ভালো করে। চাণক্যে একজন বুদ্ধমান ব্রাক্ষ্মন ছিলেন। তিনি রাজদরবারে রাজাকে সুপরামর্শ দিতেনন। আর তার





মতে চলে রাজা জীবনে বেশ উন্নতিও করেছিলেন। তবে তিনি যে শুধু রাজাকে পরামর্শ দিতেন তা কিন্তু নয়। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য তিনি অনেক নীতির বর্ণনা করে গেছেন। তার মধ্যে কিছু নীত বিশেষ করে তিনি পুরুষদের জন্য লিখেছেন। তিনি সকল পুরুষদে উদ্দেশ্য করে





বলেছেন যে, এই ৩টি কথা কখনো কাউকে বলা উচিৎ নয়। এই নীতি মেনে চললে সেই পুরষকে কখনো জীবনে কারোর কাছে নিচু হতে হবে না। এক নজরে দেখে নিন চণক্যের সেই গোপন তিনটি পরামর্শ: ১। কোন পুরুষের স্ত্রীর চরিত্র যেমনই হোক না কেন সে সর্ম্পকে কাউকে





কিছু জানানো ঠিক নয়। যদি আপনার স্ত্রীর সাথে সুখী জীবন কাটাতে চান তাহলে তার চরিত্র ভালো হোক আর খারাপই হোক তা নিয়ে অন্য কারোর কাছে আলোচনা না করে তার বরং ভালো খারাপের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে মিলেমিশে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। ২। প্রচলিত আছে





যে, মেয়েদের বয়স আর পুরুষের আয় কখনও কাউকে বলতে নেই। কোন পুরুষের আয় যেমনই হোক, মানে কম হোক বা বেশি হোক তা নিয়ে কখনো অন্যের সাথে শেয়ার করতে যাবেন না। নিজের আয় নিয়ে কাউকে যদি কিছু বলেন তবে তা অপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে





পারে। ৩। যদি আপনার ব্যবসায় কোন লোকসান হয়ে থাকে তাহলে কারোর কাছে দুঃখ প্রকাশ না করাই ভালো। নিজের ক্ষতি সর্ম্পকে কাউকে বলবেন না। যদি আপনার অবস্থা খারাপ হয় তা জানিয়ে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছে সাহায্যে চান তাহলে তারা আপনার বিপদে সুযোগ





নিতে পারে। যদি আপনি কোন কারণে মানসিক বা শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়েন সেই কথাও নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে নিজের দূর্বলতা নিজেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। যদি আপনি অন্যের থেকে সহায্যে চান তারা সাহায্যে না করে বরং উল্টো আপনাকে সহানুভূতি দেখিয়ে আরও দূর্বল করে তুলবে।









