তারাপীঠ এর কিছু অজানা র’হস্য যা আপনাকে অ’বাক করবে – কালী কথার অর্থ কৃষ্ণ বা ঘোর বর্ন।দূর্গার,সতীর আরেক রূপ হিসেবে কালীকে গন্য করা হয়।এই কালী মায়ের নানারূপ আছে যেমন-ভদ্রকালী,রক্ষাকালী।কিন্তু হিন্দু গৃহস্থে আরাধ্য দেবতা হিসেবে কালীর স্হান দেওয়া





হয় আবার সতীর দেহের অংশ যেখানে যেখানে পতিত হয়েছে সেখানে গড়ে উঠেছে পীঠস্থান ।এই রকম একটি পীঠস্থান হল তারাপীঠ। তারকা নদীর তীরে অবস্থিত এই তারাপীঠ এক পীঠস্থান ।নানা রহস্য বেড়াজালে আবদ্ধ এই তারাপীঠ । নানা পুরান গল্প আছে একে কেন্দ্র করে । 1.





কবে এর উদ্ভব তা আজ অবধি খোজ পাওয়া যায়নি।অতি প্রাচীন দেবী শিলা মা উগ্রতারাকে ঘিরে আছে নানা কাহিনী। 2.নানা দেশ থেকে এই পীঠস্থান দর্শন করতে আসে বহু মানুষ।একান্ন পীঠের মধ্যে অনেকে তারাপীঠকে অন্তর্ভুক্ত করলেও একান্ন পীঠের মধ্যে এটি পড়ে না।কারন





মহাপীঠ পীঠস্থানে এটি তালিকা ভুক্ত নয়। 3.প্রচলিত কথা আছে এখানে নাকি সতীর ত্রি নয়ন পতিত হয়েছিল তবে এর সমর্থনে কোনোরূপ প্রমান পুরানে মেলেনা। 4.এক মহাশক্তির কেন্দ্রবিন্দু এই তারাপীঠ ।তারাপীঠ আসলে একটি সিদ্ধপীঠ বহু যুগ ধরে বহু সাধক তারাপীঠে তপস্যা





করার জন্য।তাদের সিদ্ধ লাভে বছর বছর ধরে ধন্য হয়ে তারাপীঠ ।সুতরাং এই পীঠে এই ভগবানের মহিমা অন্যন্য থেকে অনেকাংশে ভিন্ন । 6.মন্দিরের যে নক্সা তা দেখলে আশ্চর্য হতে হয়।ভারতের পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে এ মন্দির। 7.মায়ের যে মূর্তি তা ঢাকা থাকে এক





আচ্ছাদনে একেই দেবীরূপে পুজো করা হয়।তারা মায়ের এ মূর্তি ঘরে ঘরে পূজিত হয়। 8.তারাপীঠ এখানকার পাগলা সন্ন্যাসী বামা ক্ষেপার জন্যও প্রসিদ্ধ ।বামা খ্যাপা এই মন্দিরে পুজো করতেন।এবং মন্দির সংক্রান্ত শ্মশান ক্ষেত্রে তন্ত্রসাধনা করতেন।তারাদেবীর পুজাতেই নিজেকে





নিয়োজিত রেখেছিলেন বামাখ্যাপা।ভগবানের সান্নিধ্যে নিজের জীবন নিয়োজিত করেছিলেন । তন্ত্রসাধনায় তার স্থান সবার উর্ধে।তাকে ঘিরে রচিত হয়েছে তন্ত্রসাধনার বড়ো অধ্যায় 9.তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন শশ্মান ক্ষেত্রও খুব বিখ্যাত ।সারা দেশ থেকে সাধকরা এখানে আসে তন্ত্রসাধননের





উদ্দেশ্যে শ্মশানক্রিয়া সম্পন্ন করতে। বীরভূম জেলায় অবস্থিত এই তারাপীঠ ভীষন ভাবে জাগ্রত। তারাপীঠে তারা মায়ের পুজোতে সুখ ও সফলতা আসে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। গৃহে শান্তি আসবে।অশুভ শক্তির প্রকোপ দূর হয়। সম্ভব হলে আপনিও একবার ঘুরে আসুন মা তারাপীঠ।









