টিউশনির নাম করে ছাত্রদের বিছানায় ডাকতেন শিক্ষিকা! সচেতন হোন এবং সন্তানকে নিরাপদে রাখুন – বাবা মায়ের সঙ্গে তাদের ছেলেমেয়েদের যেমন সম্পর্ক, ঠিক তেমনই একটি ছাত্র ও শিক্ষিক বা শিক্ষিকার সম্পর্ক। মা বাবার পর শিক্ষক-শিক্ষিকারই আমাদের দ্বিতীয়





অবিভাবক। শিক্ষিক শিক্ষিকা আমাদের গুরুজন, তাঁদের কাছে শিক্ষা লাভ করে আমরা জীবনের পথে এগিয়ে চলি। আজ থেকে বহুকাল আগে ছাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতি ছাত্র ছাত্রীরা এক অন্য শ্রদ্ধা, মর্যাদা ছিল। কিন্তু এখনকার দিনে তা ধীরে ধীরে কমে যেতে চলেছে। তবে বলা বাহুল্য বর্তমান সমাজে এখনো সেরকম ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যাদের কাছে তাঁদের শিক্ষক-শিক্ষকাদের প্রতি শ্রদ্ধা, মর্যাদা ঠিক আগের মতোই





রয়েছে। আমাদের এই ভারতবর্ষে এমনটাই হয়ে আসছে। ইদানিং শিক্ষিকা এবং এক ছাত্রের এক ঘটনা সমাজের সামনে আসে। যে ঘটনা বর্তমান ছাত্র এবং শিক্ষিক-শিক্ষিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। এই আধুনিক যুগে কে ছাত্র আর কে শিক্ষিকা সেটা কেউ মানতেই চায় না। বর্তমানে একটি ছাত্রের সঙ্গে তার শিক্ষিকার এবং ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের প্রে* মের কথা প্রায়ই শোনা যায়। খবরের শিরোনামে এমন ঘটনা





এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। ঠিক সেইরকমই কলম্বিয়ার মেডেলিনের ইওকাসতা নামের চল্লিশ বছরের উর্ধে এক স্কুল শিক্ষিকা, তার কাছে পড়তে আসা ছাত্রদের কে পরীক্ষায় ভালো ফল করিয়ে দেওয়ার জন্য, একটি মাত্রই শর্ত দিতেন। আর শর্তটি হলো তার বাড়িতে তার শয্যা স* ঙ্গী হতে হবে। পরীক্ষায় ভালো ফল আমরা সবাই করতে চায়। আর তার জন্য ছোট খাট শর্ত তো আমরা মেনে নিতেই পারি। যেমন ভালো ফল





করলে চকলেট অথবা কেক খাওয়াতে হবে, কিংবা একদিন পার্টি দিতে হবে। তা বলে এমন শর্ত? শুধু পাশ নয় পরীক্ষা তে ভালো নাম্বার পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েও ছাত্রদের কে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিতেন ওই শিক্ষিকা। এমনকি তার এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও রয়েছে সমস্যা। সেটা হল ভালো নাম্বার পাইয়ে দেবার তো দূরের কথা উল্টে ফেল করিয়ে দেবার কথা শোনাতেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে ওই শিক্ষিকা এই





অ* পকর্ম চালিয়ে গেলেও, তা কারো নজরে আসেনি। তবে তিনি প্রথম ধরা পড়েন এক ছাত্রের মাধ্যমে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্র তার অভিভাবকদের জানায়, যে তাকে ও প্রস্তাব দিয়েছিল এই শিক্ষিকা, কিন্তু ছাত্র তার প্রস্তাবে কোনোরকম সারা দেননি। তাই তাকে পরীক্ষাতে ফেল করিয়ে দেবার কথা বলেন ইওকাসতা নামের ওই শিক্ষিকা। প্রলোভন দেখানোর জন্য ওই শিক্ষিকা ছাত্রের মোবাইলে যেসব খা* রাপ ছবি





পাঠিয়েছিলেন, সেগুলোও তার পরিবারকে দেখিয়ে দেয় ওই ছাত্র। ছাত্রদের ইওকাসতা যেসব ছবি পাঠাতেন তা বর্ণনার যোগ্য নয়। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ায় পর ওই শিক্ষিকার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনা প্রকাশ্যের পর ১৬-১৭ বছর বয়সী অনেক ছাত্র সাহস পেয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মুখ খোলে। ফলে বিষয়টি আদালতের দরজায়ও পৌঁছে যায়। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দি ডেইলি





মাইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই স্কুলে শিক্ষিকা কে শা* রীরিক হয়রানির অভিযোগে ৪০ বছরের কা* রাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পরে ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, বহুদিন থেকেই এই অ* পকর্ম করে আসছিলেন ওই শিক্ষিকা। নিজের যৌ* ন ক্ষুদা মেটাতে ওই শিক্ষিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ছাত্রদের ফোন করে তার বাড়িতে ডাকতেন। এবং বলতেন, পড়ার জন্য তার বাড়িতে





আসতে হবে, তা নাহলে পরীক্ষার ফলাফল খুব একটা সুবিধা জনক হবে না। ওই শিক্ষিকাকে আটক করার পর, তার নিজস্ব হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর আপত্তি কর ছবি পায় পুলিশ। কিন্তু এতদিন ধরে এমন কাজ করে গেলেও স্কুল কিংবা বাড়ির মানুষ তা ঘুনাক্ষরেও তা জানতো না। ব্যাপারটি মূলত শারী* রিক নি* র্যাতনে শিকার এক ছাত্রের বাবা স্কুল কতৃপক্ষকে জানানোর পর বিষয়টি ফাঁ*স হয়ে যায়। এই





ঘটনা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বর্তমানে এমন ঘটনা আমাদের দেশে তেমন হয় না। কিন্তু আগে থেকে জেনে সচেতন হওয়া একজন নাগরিক হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।









