ক’ঠিন সময়ে রক্ষা করেন বাবা লোকনাথ, সর্বদা পাশে থাকেন ভক্তদের!- ঈশ্বর এমন এক ধরনের কাল্পনিক ভাবনা যা আমাদেরকে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অনুপ্রাণিত করে চলে। এবং তার সাথে সাথে জীবনকে রক্ষা করে চলেন। ভারতবর্ষে ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা অধিক। বলাবাহুল্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন





না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু এই ঈশ্বর এর কথা বলতে গেলে যার কথা না বললেই হয় না তিনি হলেন লোকনাথ বাবা। আর বাকি পাঁচটা ঈশ্বরের মতো তিনি হয়তো অদৃশ্য কোন কাল্পনিক চেহারা ন। য় কারণ লোকনাথ বাবা রক্তমাংসের তৈরি মানুষরূপী এল দেবতা।





লোকনাথ এর জন্মদিন জন্মাষ্টমীতে ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ আগস্ট। কলকাতা থেকে কিছু দূরে ২৪ পরগণার কচুয়া গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামনারায়ণ ঘোষাল এবং মাতা কমলাদেবী। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের ৪র্থ পুত্র। লোকনাথে জন্মস্থান নিয়ে





শিষ্যদেরও ভেতরে বিতর্ক আছে। নিত্যগোপাল সাহা এ বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ও রায় অনুযায়ী তার জন্মস্থান কচুয়া বলে চিহ্নিত হয়। যদিও অনেকে মনে করেন তার জন্মস্থান বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার চাকলা। যা চাকলাধাম নামে লোকনাথ ভক্তদের নিকট পরিচিত।





কিন্তু এই লোকনাথের বারবার এমন বেশ কিছু বাণী রয়েছে যেগুলি নিয়মিত উচ্চারণ করলে জীবনে আসে সুখ-সমৃদ্ধি তার পাশাপাশি কেটে যায় সমস্ত রকম বিফলতা। লোকনাথ বাবার সবথেকে জনপ্রিয় বাণী হলো ” জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমি তোমাদের





সাহায্য করিব” অবশ্য এটি একটি শুধুমাত্র বাণী নয় কারণ এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ সে ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমরা। বাবা লোকনাথের কৃপায় জীবন অত্যন্ত সুন্দর হয়ে ওঠে ৷ লোকনাথ বাবা ভক্তদেরকে সব সময়েই সৎ পথে চলার পরামর্শ





দিতেন। সাধারণ এক পরিবারের সন্তান হয়েও নিজের কর্মবলে সবার কাছে পূজনীয় হয়ে উঠেছেন৷ লোকনাথ বাবা তার ভক্তদের কখনো কাউকে আঘাত করতে সেখাননি। সকলের সাথে সহনশীলতার সাথে ব্যবহার করতে শিখিয়েছেন। তাই তাদের তার ভক্ত অন্যান্য সকল মানুষের থেকে একটু আলাদা হয়ে থাকে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাবা রক্ষা করেন৷ বাবা লোকনাথ সব সময়েই কঠিন পরিস্থিতিতে রক্ষা করেন।









