আপনার ভুঁড়ি কি তর তর করে বাড়ছে? ভুঁড়ি বাড়ছে মানে যে শুধুই দেখতে খারপ লাগছে তাই কি? আত্মবিশ্বাসও কি একটু কমে যাচ্ছে? শরীরে প্রভাব পড়ছে নাকি একটুও? গবেষণা বলছে ভুঁড়ি বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক এবং শরীরের আরও নানা রোগব্যধি।ভুঁড়ি কমাতে হলে আপনাকে রোজ ব্যয়াম করতে হবে। আর এ কাজ টা সময় স্বল্পতার কারণে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না সবার। তবে এর যে বিকল্প ব্যবস্থা নেই তা নয়। আপনি চাইলে ডায়েটের পাশাপাশি নান প্রকার সবজি খেয়ে আপনার ভুঁড়ি কমাতে পারেন।





এক নজরে দেখে নিন যেসব সবজি ভুঁড়ি কমাতে সহায়তা করে থাকে: ১। শাক ও অন্যান্য সবুজ সবজি: বিভিন্ন শাক, লেটুস পাতায় রয়েছে ভুঁড়ি কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব সবজিতে ফ্যাট কমে তাদের মধ্যে শাকের উপকারিতা অনেক বেশি। প্রতিদিনের ব্রেকফাস্ট বা দুপুরের খাবারে অবশ্যেই শাক থাকা চাই।





২। মাশরুম: আপনি আমিষ ভোজী হোন বা নিরামিশাষী হোন, মাশরুম সকলেরই পছন্দ। মাশরুম রক্তে ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও মাশরুম প্রোটিনে ভরপুরা যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট জমা আটকাতে পারে। ৩। ফুলকপি ও ব্রেকলি: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর বিভিন্ন খনিজ মিনারেল ও ভিটামিনের পাশাপাশি ব্রকলিতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল যা ফ্যাট জমতে দেয় না। একই উপকারিতা রয়েছে ফুলকপিতেও।





৪। কাঁচা মরিচ: ফ্যাট কমাতে সত্যিই কাঁচা মরিচের জুড়ি মেলা ভার। গবেষকরা বলছেন, কাঁচা মরিচ ক্যালোরি পোড়াতে সহায়াতা তো করেই, এছাড়াও শরীরের মধ্যে জমে থাকা ফ্যাট অক্সিডাইজ করে থাকে। ৫। কুমড়ো: বেশি পরিমাণ ফাইবার আর কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার হল কুমড়া। ভুঁড়ি কমাতে প্রতিদিনের খাবারের লিস্টে কুমড়ো রাখলে উপকার পাবেন। রান্না করে কিংবা স্যালাড হিসেবেও খেতে পারেন।





৬। গাজর: কুমড়ার মতো গাজরও লো ক্যালরির সবজি। ফাইবারে ভরপুর গাজরের জুস প্রতিদিন খেতে পারেন কিংবা স্যালাড করেও খেতে পারেন। ৭। বিনস: অন্যান্য উপকারিতা তো আছেই, কিন্তু পেটের ফ্যাট কমাতে অন্যতম সেরা সবজি হলো বিনস। বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত যে, নিয়মিত বিন খেলে শরীর মোটা হওয়ার হাত হতে রক্ষা করে।





৮। শতমূলী: সবজি হিসেবে খুব একটা পরিচিত নয় শতমূলী। তবে, ফ্যাট কমাতে এর ভূমিকা অসাধারণ। এতে রয়েছে কেমিক্যাল অ্যাস্পারাজিন, যা সরিসরি কোষের উপর কাজ করে থাকে। ফলে শরীরে ফ্যাট জমতে পারে না। শতমূলী সামান্য রোস্ট করে কিংবা হালকা ভেজে প্রত্যহ খাবার তালিকায় যোগ করতে পারেন।





৯। শশা: এতে রয়েছে ডিটক্সিফিকেশনের গুণ । শাশায় ফাইবার আর জলে পরিমাণ বেশি থাকায় বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায় এই ফলটি। আপনি শশা রোজ খাবার তালিকায় যোগ করে নিন। এতো গেল খাবারের কথা আপনি এসব খাবারের পাশাপাশি হালকা ব্যয়াম করুন প্রতিদিন তাহলে শরীরের ক্যালরি পুড়ে আপনার ভুঁড়ি একবারেই কমে যাবে।









