বয়স ৩০ পেরোনোর পর পরই শরীরে নানা রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যমত হলো হাড়ের রোগ। এই রোগটি শীরের জন্য ভীষণ কষ্টকর। যদি হাড় কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যেমন: বাত এর ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, ব্যথা ইত্যাদি রোগ হলে অনেক কষ্ট করতে হয়। চলাফেরা করতে, হাঁটতে, নিচু হয়ে কোন কাজ করতে ইত্যাদি।




তবে দুঃখজনক হলেও সত্যে যে হাড়ের যন্তে আমরা তেমন একটা সচেতন নই। ফলে আমাদের অজ্ঞতা এবং অবহেলা আমাদের অজান্তেই হাড়ের ক্ষতি করে। হাড়ের রোগের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে ভয়ানক হলো অস্টিওপোরেসিস। এই রোগের কারণে হাড়ে ভঙ্গুরতা সৃষ্টি হয়।




প্রতিদিন আমরা এমন সব কিছু খাই যা হাড়ের ক্ষতির জন্য অন্যতম দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেছে চিকিৎসকরা। চলুন তবে সেসব খাবার সর্ম্পকে বিস্তারিত জেনে নেই।




১। অতিরিক্ত লবণ: অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীর হতে ক্যালসিয়াম বে কের দিয়ে হাড়কে দূর্বল ও ভঙ্গুর করে দেয়। নানা প্রকার ফাস্টফুড, চিপস, সালাদে মেশানো লবণ হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, খাবার পাতে কাঁচা লবণ যেমন উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধি করে তেমনি হাড়েরও ক্ষতি করে।




২। কোমল পানীয়: বর্তমানে আমরা সবাই কম-বেশি সফল ড্রিংক বা কোমল পানীয় এর প্রতি ঝোঁক রয়েছে। এই কোমল পানীয় প্রতিনিয়ত আমদের হাড়ের ক্ষতি করে চলছে। এই কোমল পানীয়তে রয়েছে ফসফরিক অ্যাসিড যা প্রসাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর হতে বের করে দেয়। যারফলে হাড় ক্ষয় দেখা যায়।




৩। অতিরিক্ত মাংস: মাংস আমরা কমবেশি খেয়ে থাকি। তবে জানেন কি? মাংস হচ্ছে প্রাণীজ প্রোটিন। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া মানে শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন জমা হওয়া। অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে, যা নিস্ক্রিয় করতে ক্যালসিয়ম ক্ষয় হয়। ফলে ক্যালসিয়ামের সঠিক ব্যবহার হাড়ে হয়। এতে হাড়ের ক্ষতি হয়। ফলে সহজে আপনি হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।




৪। চা ও কফি পান: চা ও কফির ক্যাফেইন হাড় ক্ষয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই চা ও কফি অতিরিক্ত পান করা হতে বিরত থাকুন। দিনে ২ কাপের বেশি চা, কফি পান করবেন না। তাহলে আপনার হাড় ক্ষয় হওয়ার আশংঙ্কা থাকবে না।




এছাড়ও আপনি হাড়ের রোগ এড়িয়ে চলতে হলে নিয়মিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তাই বলে আবার ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কিনে খাওয়া শুরু করবেন না। আর যদি কখনো হাড়ের সমস্যা মনে হয় তাহেল ডাক্তার এর শরনাপন্ন হন।







