আমাদের দেশে একটি অতি জনপ্রিয় ফল। অনুমান করা হয়, স্বাদের দিক হতে কিছুটা নোনতা হওয়ার কারণে এর নাম করণ করা হয়েছে আতা। হিন্দিতে এর নাম রাম ফল। আতার আদি নিবাস পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ। পুষ্টিগুণে আতা অনন্য একটি ফল।




প্রতি ১০০ গ্রাম আতায় রয়েছে শর্করা ২৫ গ্রাম, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ গ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১২০ মিলিগ্রাম, গ্লাইসেমিক ৫৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রামসহ আরও অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।




এক নজরে দেখে নিন যেসব রোগ আতা খেলে সেরে যাবে-




১। আতায় বিদ্যমান গ্লাইসেমিকের মাত্রা ৫৪ থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। এতে কোন সুগারের তারতম্য হবে না। বরং তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এই আতা ফল।




২। এতে থাকা ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম হার্ট সুস্থ্য রাখে। তাই যারা হার্টের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য খুবই উপকারি আতা ফল। হার্ট এর সুস্থ্যতায় আতার জুড়ি মেলা ভার।




৩। খাবারের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে আতা ফলে থাকা ফসফরাস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এর খাদ্য আঁশ হজম শক্তিবৃদ্ধি করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে। যাদের হজমের সমস্যা তারা আতাফল নিয়মিত খেতে পারেন।




৪। যাদের ওবেসিটি রয়েছে তারা এই ফলটি খেতে ভয় পান, কিন্তু ভয়ের কোন কারণ নেই। এতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তাই যারা হজম, অম্বল, গ্যাস নিয়ে ভয়ে আছেন তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।




৫। আতা ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা শরীরের হাড় গঠনে গুরুর্ত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। আতা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। তাই শরীরে হাড়জনিত রোগের সমস্যা হতে দূরে থাকতে হলে আতা খেতে পারেন।




৬। আতা ফল শরীরের ডিএনএ এবং আরএনএ সংশ্লেষণ, শক্তি উৎপাদনের সোডিয়াম, পটাশিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। সাথে যে কোন প্রকার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহয়াতা করে থাকে।




৭। আতায় থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে থাকে। দূরারোগ্য ব্যাধিকে তাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়াও আতাফল রক্তশূন্যতা দূর করে থাকে।







